রামপাল প্রকল্প স্থগিত চেয়ে রিট

0
127
Print Friendly, PDF & Email

বাগেরহাটের রামপালে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে চারজন আইনজীবী রোববার এই রিট আবেদন করেছেন।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মঞ্জিল মোরশদে।
 
মঞ্জিল মোরশেদ জানান, পরিবেশের ওপর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রভাব নিরূপণের আগ পর্যন্ত প্রকল্পটি স্থগিত চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে। সোমবার এই রিটের শুনানি হতে পারে। বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
 
দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড’ খুলনার রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।  এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে আগেই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি, বাস্তবায়ন চুক্তি এবং সম্পূরক যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সই হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে গত ২৫ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী।
 
তবে এই প্রকল্পটিকে ‘সুন্দরবন বিনাশী’ দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন। একই দাবিতে গত মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখী পাঁচদিনব্যাপী লংমার্চ করেছে কমিটি।
 
সর্বশেষ শনিবার বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দিগরাজে লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে আল্টিমেটাম দিয়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রকল্প বাতিল না করলে পরদিন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
 
এছাড়া এই প্রকল্প বাতিল না করলে প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান প্রতিহত করা হবে বলেও লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
 
এদিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখী লংমার্চ চলাকালে গত বৃহস্পতিবার এক প্রেসনোটে  বলা হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন ‘অপপ্রচার’ চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রেসনোটে ‘সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকদের’ সহযোগিতাও চেয়েছে সরকার।

শেয়ার করুন