সামনে ঈদুল আযাহা। তার দু’দিন আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা ও বিজয়া দশমী। এই দুটি উৎসবকে সামনে রেখে জাল টাকার কারবারিরা যাতে মাঠে নামতে না পারে সেজন্যে আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় ঈদ পূজাকে সামনে রেখে সব সময়ই জমে ওঠে জালটাকার ব্যবসা। এজন্যে কোরবানির পশুর হাটে জালনোটের ব্যবহার ঠেকাতে এবার যৌথভাবে মাঠে থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সম্প্রতি দেশের সবগুলো বানিজ্যিক ব্যাংককে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি ও জেলা কমিটিগুলোকেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত বলেন, কোরবানির সময়ে জালনোটের ব্যবসার সম্ভাবনা সব সময় বেশি থাকে। এজন্যে সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
জালনোট প্রতিরোধে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে দাবি করে ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, রাজধানীর বাইরে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুযোগ নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টিম ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সহযোগিতা করবে।
প্রতিটি পশুর হাটে ব্যাংকের কর্মী ও জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সদস্যরা থাকবে। থাকবে ব্যাংকের বুথও। এসব বুথে জাল নোট সনাক্তের যন্ত্রও রাখা হবে।
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশন যতগুলো পশুর হাটের অনুমোদন দেবে সবগুলোতেই ব্যাংকের বুথ বসানো হবে। থাকবে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিও।