ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চক্র গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
মন্ত্রীর নাম উচ্চারণ না করে ফখরুল বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে, জোর করে তাদের এনে গোলযোগ সৃষ্টি করেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এই অবস্থা। মন্ত্রীর নেতৃত্বে গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গার্মেন্টস সেক্টর শেষ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করেন নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান।
ফখরুল বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন তাদের দাবি আদায়ে। এই সেক্টর দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে, দেশের অগ্রগতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ এই সেক্টরটি বন্ধ করতে, ধ্বংস করতে দেশি –বিদেশি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।
‘৭৩’র ভোট ডাকাতির পুনরাবৃত্তি নয়: চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামের একটি সংগঠন।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক আইন প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনায় তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। অনলাইনে যারা কাজ করেন, এ সম্পর্কে ভালো জানেন।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিতে চায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এটি কখনোই সম্ভব নয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে আপনাদের সবাইকে শহীদ হতে হবে। এই সংকট মোকাবেলা করতে হলে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, আগামী অল্প দিনের মধ্যে সমাবেশ শেষ হলেই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন নেত্রী। এর মাধ্যমেই জালেম সরকারকে হটানো সম্ভব হবে।
ফখরুল নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ২৪ অক্টোবর হচ্ছে সংসদের শেষ দিন। অর্থাৎ মাত্র একমাস বাকি, মাত্র চার সপ্তাহ। তারা বলেছেন, ২৪ অক্টোবর থেকে সংসদ থাকবে, কিন্তু অধিবেশন বসবে না। গোটা জাতির কাছে এখন একটি সংকট দেখা দিয়েছে, নির্বাচন হবে কি হবে না।
সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবুল হোসেন, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।