গাজীপুরে আবারো শ্রমিক বিক্ষোভ: মহাসড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

0
185
Print Friendly, PDF & Email

বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। আজ (রোববার) সকালে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুত এলাকায় কয়েকটি গার্মেন্টসে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা ৯টার দিকে রাস্তায় বেরিয়ে এসে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক এ সম্পর্কে জানান,   চলাকালে বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছোড়ে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে বেলা পৌনে ১১টার দিক যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 উল্লেখ্য, ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা শনিবার কয়েক ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানার পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে চন্দ্রা থেকে পল্লী বিদ্যুত এলাকা পর্যন্ত শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এর আগে শনিবারও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখায় পোশাক শ্রমিকরা। অসন্তোষের কারণে গাজীপুর বোর্ড বাজারসহ আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক কারখানায় শনিবার ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে, দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকেরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সরকারপন্থী গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শাজাহান খান শ্রমিক নেতাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ বলেন,  “শেখ হাসিনা একজন শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। অতীতেও তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিলেন।” প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে শাজাহান খান বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আপনিই নির্ধারণ করুন।

শেয়ার করুন