সীমান্তে আটক বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের এখন থেকে আর গ্রেফতার না করে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে শনিবার রাতে এ কথা বলা হয়েছে। শনিবার এক নির্দেশে বিএসএফ বলেছে, এখন থেকে নারী-শিশুদের গ্রেফতার না করে সীমান্ত থেকেই তাদের বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে ফেরত পাঠানো হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এসব নারী ভারতে যেতে বাঁধ্য হন।
বিএসএফ শনিবার জারি করা নির্দেশে বলেছে, “এখন থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তারা নারী ও শিশুদের গ্রেফতার করবে না। এতদিন অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলে সবাইকেই আটক করে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দিত বিএসএফ। এরপর বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী সবারই সাজা হতো।
বিএসএফ বলছে, অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া নারী ও শিশুরা বেশির ভাগ পাচারের শিকার। তাই তাদের জেলে পাঠিয়ে শাস্তি দেওয়া অনুচিত। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বিডি শর্মা এ নির্দেশ জারি করেছেন।
বিডি শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা জানি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানব পাচার হচ্ছে। এখন আর ভিকটিমকে গ্রেফতার করা হবে না। আমরা ঠিক করেছি, নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে যদি তারা সীমান্তে ধরা পড়ে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা যদি মনে করি তারা ভিকটিম, তাহলে বিজিবিকে ডেকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেব।
বিডি শর্মা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরই বোঝা যাবে, চোরাচালানের মতো কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে ওই নারী বা শিশুরা ভারতে এসেছিলেন কি-না। নারী ও শিশুদের গ্রেফতার না করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্তে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে আশা বিএসএফের।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবি দুই জেলেকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ কে পত্র দিলে জবাবে বিএসএফ জানিয়েছে দুই বাংলাদেশীকে ভারতীয় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভারত সীমান্তবর্তী চরপাড়া-চড়–ইকুড়ি এলাকার ১৫৭/১১ এস সীমানা পিলার সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর জিরো পয়েন্টে মাছ ধরার সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা দুই বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। –