খালেদা নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কানের ডাক্তার দেখাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদি পেশাজীবী পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্র্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) আয়োজিত ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কানের চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন।
হান্নান শাহ বলেন, সারাদেশে জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সবখানেই একটাই কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কানে তা প্রবেশ করছে না। অচিরেই শেখ হাসিনাকে কানের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিলেন হান্নান শাহ। তিনি বলেন, তা নাহলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর কানের চিকিৎসা করবে।
হান্নান শাহ বলেন, শেখ হাসিনা ৮ হাজার সৈনিককে নিয়ে দরবার করতে চাচ্ছেন। সেই দরবারের সম্রাজ্ঞী হতে চাচ্ছেন তিনি নিজেই। এটা করে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে সর্প হয়ে দংশন করার পর ওঝা হয়ে ঝাড়তে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে কোন দৃষ্টিতে দেখতে চাচ্ছেন জানিনা। তবে সরকারকে মনে রাখা দরকার একটি সময় ছিল যখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তিন বেলা না খেয়েও দেশের স্বার্থে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিবা-স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন হবে না। জয় সম্পর্কে হান্নান শাহ বলেন, জয় তিন দিন পর চমক দেখাতে চেয়েছিলেন তা হল তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে নিউইয়র্কে গেছেন। হয়তো নিউইয়র্ক থেকে তিনি আমাদের আরো চমক দেখাবেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পর্কে তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আইনটি মিড টু ওয়ার্ডারে হয়েছে। এর আগে দুই-দুই বার হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আইন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের স্বার্থে এই দুর্বল আইনটি নিয়ে লাফালাফি করছে। দেশের মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে কখনই মেনে নেবে না। তিনি বলেন, আমাদের একটাই দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ জনগণের এই ন্যায্য দাবি মেনে না নিলে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা আমাদের ভালো করেই জানা আছে। সময়মতো তা প্রকাশ পাবে।
গোল টেবিল বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, ওয়ান ইলেভেনের মতো আরেকটি বিভৎস কাহিনী সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়। দেশের জনগণ কখনই পুনরায় ওয়ান ইলেভেন আসতে দেবে না। আমাদের একটাই দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। জাতীয়তাবাদি পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি লায়ন মু.গিয়াস উদ্দীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- জাতীয়তাবাদি পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান প্রমুখ।