শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সহ-উপাচার্য অবরুদ্ধ

0
131
Print Friendly, PDF & Email

বিভিন্ন দাবি দাওয়ার মুখে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সহ-উপাচার্যকে তাঁর কক্ষে অবরোধ রেখেছেন। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা নগরের ফয়’স লেক এলাকার ক্যাম্পাসের সামনের সড়কও অবরোধ করে রাখেন।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী উপাচার্য ও বিভাগীয় ডিন নিয়োগ; ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) সদস্যপদ গ্রহণ; অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপক পদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো; ল্যাব-সুবিধা বাড়ানো; ক্যাম্পাসে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান; ক্যানটিনের ব্যবস্থা; গ্রন্থাগারের আসন বৃদ্ধি ও টিউশন ফি কমানো প্রভৃতি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতা ইমতিনান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে পাঁচ মাস সময় চেয়েছিল। আজ সে সময় শেষ হয়েছে, তাই আমরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রোভিসিকে অবরোধ করে রেখেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করব।’

অবরুদ্ধ ইউএসটিসির সহ-উপাচার্য এ এইচ এম ইসহাক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক স্বীকার করে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর প্রশাসনিক কাজকর্ম গুছিয়ে নিতে সময় লেগেছে বলে এসব দাবি পূরণ সম্ভব হয়নি। আজ বিকেলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণের চেষ্টা করব।’

আজ সকালে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসে গিয়ে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সহ-উপাচার্যের কার্যালয় ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। প্রোভিসির কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা।

ফারহানা নাজনীন নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘সবখানেই একজন অভিভাবক দরকার। কিন্তু আমাদের সেই অভিভাবক অতিথি ডিন সপ্তাহে মাত্র দুই দিন করে ক্যাম্পাসে আসেন। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইইবির সদস্যপদ না থাকায় আমরা পড়াশোনা শেষ করেও প্রকৌশলী হিসেবে অনেক সুবিধাবঞ্চিত হব। “প্রকৌশলী” পদবিটি ব্যবহার করতে পারব না।’

সাকিফুল আলম নামের অন্য শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ইটিই, ট্রিপল ই এবং সিএসই বিভাগে কোনো প্রধান নেই। ফলে আমাদের কাজের ভালো-মন্দ বিচার এবং কাজের উত্সাহ দেওয়ারও কেউ নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, বাথরুমে পানি না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেককে বাসায় চলে যেতে হয়।’

শেয়ার করুন