নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক শক্তি খুশি হবে

0
160
Print Friendly, PDF & Email

নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন না হলে বা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিলতা বাড়লে গণতন্ত্রের বিপক্ষের শক্তি খুশি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয়।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সাংসদেরা এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন জোটের দুই সাংসদ ফজলে রাব্বি মিয়া ও মইন উদ্দিন খান বলেন, ‘দেশের সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে অগণতান্ত্রিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এটি কারও জন্য সুখকর হবে না। আমরা এক-এগারোতে সে রকম অবস্থা প্রত্যক্ষ  করেছি।’

এর জবাবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে ধারণ করি না। তবে সমালোচনার অধিকার আমাদের আছে। সেজন্য আপনারা আমাদের শত্রু ভাববেন না।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাবে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে না। আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যে কর্মসূচি নাগরিকদের জন্য অশান্তি ও দুর্ভোগ বয়ে আনে, সেই কর্মসূচি গণতান্ত্রিক হতে পারে না। হরতাল মানেই এখন সহিংসতা। গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।’

সরকারি দলের আলী আশরাফ বলেন, গণতন্ত্র আরেকবার হুমকির সম্মুখীন হলে দুর্গতি আছে। এ বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করতে হবে।

বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘গত ৪২ বছরে আমরা রাজনীতিবিদরা নির্বাচন-পদ্ধতি ঠিক করতে পারলাম না। এটা আমদের জন্য লজ্জার। বাংলাদেশে নামে গণতন্ত্র আছে। অথচ সরকারি ও বিরোধী দল একে অপরকে বিশ্বাস করে না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ আবদুল ওয়াদুদ, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।

শেয়ার করুন