বিশ্বজিৎ দাস হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তাঁর বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। বিচারক এ বি এম নিজামুল হক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ নিহত বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি আদালতকে বলেন, গ্রামের বাড়িতে থেকেই বিশ্বজিেক হত্যার খবর পান। ঢাকায় আসতে পারেননি। বিশ্বজিতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে তিনি তা সত্কারের ব্যবস্থা করেন। বিশ্বজিতের বাবা আরও বলেন, তাঁর মতো আর কাউকে যেন এভাবে সন্তানহারা হতে না হয়। তিনি আদালতে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আজ পর্যন্ত এ মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ৩০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
কারাগারে থাকা আটজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, এমদাদুল হক, জি এম রাশেদুজ্জামান, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা। পলাতক আসামিরা হলেন রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, আজিজুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, মীর মো. নূরে আলম, আল-আমিন শেখ, মনিরুল হক, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা করেন। এ মামলায় গত ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযোগপত্রভুক্ত ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক।