প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিবান্ধব না হওয়ায় সোনার হরিণ চাকরির খোঁজে প্রস্তুতি সহকারে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের মাত্রা চরম আকারে বিরাজমান। সেমিস্টার সিস্টেমের কারণে একাডেমিক অধ্যয়নের পাশাপাশি চাকরির জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ সম্ভব হয় না। জাতীয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিুবিত্ত শ্রেণীর পরিবার থেকে আসা। প্রয়োজনের তাগিদে পড়াশোনার খরচ বহনে তাদের অন্য খাতে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রত্ব শেষ করার পরই চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। অথচ শিক্ষাজীবন শেষ করার পর একজন শিক্ষার্থীর গড় বয়স দাঁড়ায় ২৭-২৮ বছর, যার প্রধান কারণ সেশনজট। অন্যদিকে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর। এ অবস্থায় ভালো চাকরিপ্রাপ্তির আশা জাগ্রত হওয়ার চেয়ে, হতাশার জন্ম হয় দ্বিগুণ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আরও ভিন্ন, এখানে কিছু বিভাগের প্রথম ব্যাচ ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এখন মাস্টার্স শেষ করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি। এ অবস্থায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সম্মান লাভ বা স্বাবলম্বী হওয়ার বদলে অভিশপ্ত জীবনের সম্মুখীন হতে হয়। একজন শিক্ষার্থীর পারিবারিক, সামাজিক ও সাংসারিক দায়বদ্ধতা থাকে সেশনজট নিরসনে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।