ভাবমূর্তি সংকটে আওয়ামী লীগ সংগঠনে অনৈক্য, সরকারে অস্বস্তি

0
156
Print Friendly, PDF & Email

নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় দেখানো হলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক অস্থিরতা চলছে। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত সক্রিয়তার অভাব, অনৈক্য আর বিভেদে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বেশির ভাগ এলাকায় সাংসদ বনাম তৃণমূল নেতা-কর্মী, সুবিধাভোগী বনাম সুবিধাবঞ্চিত নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।

মূল দল আর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যেও সমন্বয় নেই। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মকাণ্ড সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো উদ্যোগ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় দলের মাঠপর্যায়ে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই দল ও সরকারের নীতি নির্ধারণ করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, সভাপতিমণ্ডলী ও উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠক হলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থেকেও নেই। দলে তাঁর কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না।

আবার সরকারের ভেতরেও আছে অনৈক্য। মন্ত্রী বনাম উপদেষ্টার ঠান্ডা লড়াই, অনেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি মিলে ক্ষমতার সাড়ে চার বছরে এসে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার বিষয়টি দলীয় নেতারাও স্বীকার করেন।

এই অবস্থায় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে দলের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য মন্তব্য করেন, যুদ্ধে যাওয়ার আগেই মনে হয় দল হেরে বসে আছে।

জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় আছি, অঙ্গুলি নির্দেশ খুব সহজ কাজ।’

সংস্কার থেকে সংকট: গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলে সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবিশ্বাস ও দ্বন্দ্বের প্রকাশ্য সূচনা হয়। জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা সংস্কারের দাবি তুললে দলে শেখ হাসিনাপন্থী ও সংস্কারপন্থী বলে দুটি ধারা তৈরি হয়। গত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর সংস্কারপন্থীদের সরকার ও দলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। তবে তার আগেই আস্থার সংকট বা অবিশ্বাসের কারণে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সভাপতিমণ্ডলী থেকে তুলনামূলক কম কার্যকর উপদেষ্টামণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে নেতৃত্বের পর্যায়ে চলে আসেন অপেক্ষাকৃত অখ্যাত ও অনভিজ্ঞরা। হঠাৎ পাওয়া দলীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা মিলিয়ে এই নেতাদের সঙ্গে প্রবীণদের সমন্বয় আর হয়নি।

জাতীয় রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ এসব নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেও দলে সেই অর্থে ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেননি সাড়ে চার বছরেও। এতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই দুর্বল হয়ে পড়েন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে।

সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সংস্কারপন্থী বলে যাঁদের বাইরে রাখা হয়েছে, কর্মীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সেসব নেতার এখনো যথেষ্ট প্রভাব আছে। তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকায় শেষ পর্যন্ত দলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাংগঠনিক সংকট: ক্ষমতার সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগের দুটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আসেনি। চাওয়া-পাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য ও উপদলীয় তৎপরতায় ব্যস্ত ছিলেন দলের নেতৃত্ব।

সাড়ে চার বছরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মাত্র দুটি সাংগঠনিক সফরের আয়োজন করা হয়। কিন্তু অর্ধেক সাংগঠনিক জেলায় কোনো সফরই হয়নি। সব জেলায় বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সভা হয়েছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জেলায়। বর্ধিত সভা না করায় কর্মীদের মুখোমুখি হতে হয়নি নেতাদের।

সাত বিভাগে মহাসমাবেশ করার দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে চার বিভাগ—সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ হয়েছে। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানালেও ঢাকার বাইরে ঘোষিত দলীয় কর্মসূচিগুলোই ঠিকমতো শেষ করেননি। এ নিয়ে কোনো সাংগঠনিক পর্যালোচনা বা মূল্যায়নও নেই।

দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা হয়েছিল জেলা ও থানা পর্যায়ে কাউন্সিল না করেই। এরপর কয়েক দফা জেলা ও থানা কাউন্সিলের সময় ঠিক করেও তা করা হয়নি। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিল শেষ করার কথা অবশ্য দলীয়ভাবে দাবি করা হয়। তবে বাস্তবে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কাউন্সিল হয়েছে বলে নেতারা মেনে নেন। তৃণমূলে সংগঠনের এ রকম অবস্থার মধ্যেই গত ডিসেম্বরে আবার কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা হয়।

দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ১১টিতে কাউন্সিল হয়েছে। ৪৬০টি থানা কমিটির মধ্যে শ দুয়েক কমিটির কাউন্সিল করা হয়েছে। অন্তত ২০টি জেলায় এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। ১৫টি জেলা কমিটিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চালানো হচ্ছে। তিনটি জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদেই আছেন ভারপ্রাপ্ত। আটটি জেলায় কাউন্সিল হয় না ১৬ বছর ধরে।

সাতটি মহানগর কমিটির মধ্যে চারটিরই মেয়াদ পাঁচ-ছয় বছর আগে শেষ হয়ে যায়। এই সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েই আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দলের সক্রিয় অনেক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব নেতা এত দিন প্রতাপ দেখিয়েছেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চলায় তাঁরা এখন অনেকে গা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এই চিত্র বলতে গেলে প্রায় সারা দেশের।

স্থানীয় পর্যায়ে সাংসদেরা নিজস্ব অনুসারীদের নিয়ে চলছেন। তৃণমূলে দলাদলি বা বিভক্তি আগে কেবল নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার জন্য থাকলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টেন্ডার ও চাঁদাবাজি এবং ব্যক্তিস্বার্থ। এতে দলের মাঠপর্যায়ে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত বলে দুটি ধারা সৃষ্টি হয়। এ নিয়েও দলে অস্বস্তি প্রকট। খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সভায় তৃণমূলের অনেক নেতা দলে এই দুই ধারার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

নেতাশূন্য দলীয় কার্যালয়: আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে নেতাদের আসা-যাওয়া খুব একটা নেই। সংবাদ সম্মেলন থাকলেই কেবল নেতারা আসেন, আর টেলিভিশনের ক্যামেরা চলে গেলে সবাই চলে যান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ ধানমন্ডির কার্যালয়ে কিছুদিন নিয়মিত গেলেও একসময় তিনিও অনিয়মিত হয়ে পড়েন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত যান না। দলীয় বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলন থাকলেই তিনি সেখানে যান। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তাঁরা তাঁকে কাছে পান না। এমনকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয় না। কেবল দলীয় আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেন।

সৈয়দ আশরাফ ঢাকার বাইরে মাঠপর্যায়ে সভা-সমাবেশ বা বর্ধিত সভা করেন না। তাঁর সময়ে যে ১১টি জেলায় কাউন্সিল হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র তিনটিতে তিনি যোগ দেন।

তবে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ মাঝেমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে যান।

নিয়ন্ত্রণহীন সহযোগী সংগঠন: গত বছরের জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মধ্যে পাঁচটির সম্মেলন করা হয়। এগুলো হলো আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগ। কিন্তু গত এক বছরেও এসব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ফলে অল্প কয়েকজনের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এসব সংগঠন।

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আওয়ামী লীগের জন্য কেবল বদনামেরই জোগান দিয়েছে। ছাত্রলীগের মারামারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুনোখুনি পুরো সময়ে সরকার ও দলকে বিপদগ্রস্ত করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংগঠন একটি আতঙ্কের নাম। খোদ প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় এদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কমই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছাত্রলীগের অতীতের সব নৃশংসতাকে হার মানিয়েছে।

একইভাবে যুবলীগের একশ্রেণীর নেতা ব্যবসা-বাণিজ্য আর টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে আওয়ামী লীগকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে। গত সাড়ে চার বছর যুবলীগের কিছু নেতা ঢাকা সিটি করপোরেশনের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সিটি করপোরেশনের কার পার্কিংয়ের ইজারাও তাঁরাই নিয়েছেন। মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান ওরফে মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করেন একই শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী ওরফে তারেক। পরে তারেক র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন।

সংগঠনেই আলোচনা আছে, যুবলীগের কর্মী ইব্রাহিমও নিহত হন সিটি করপোরেশনের টেন্ডারবাজির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে। গত শবে বরাতের দিন চট্টগ্রামে রেলওয়ের একটি টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়।

নেতাদের অভিযোগ, সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার একক ইচ্ছায় চলে যুবলীগ। টাকার বিনিময়ে যুবলীগে পদ পাওয়ার অভিযোগও বেশ আলোচিত।

মাহবুব উল আলম হানিফ দলের সাংগঠনিক সংকটের কথা অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতাসীন দল মাঠে সব সময় রক্ষণাত্মকভাবে চলে। এ কারণে মনে হয়, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড কম। তিনি দাবি করেন, দল যথেষ্ট গোছালো ও শক্তিশালী। এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছি। তারা ইচ্ছামতো চলে। তবে অন্য সহযোগী সংগঠন ঠিকমতো চলছে।’

উপদেষ্টা ও মন্ত্রীদের মধ্যে অস্বস্তি: সরকার গঠনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের মধ্যে একটা অস্বস্তি ছিল। উপদেষ্টার দাপটের কারণে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে এই সময়ে কোনো কার্যকর মন্ত্রণালয়ই মনে হয়নি। মন্ত্রণালয়ের কাজে উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের ভূমিকায় দেশে-বিদেশে সরকারকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্যের মতে, মন্ত্রী-উপদেষ্টার মধ্যে সমন্বয় না থাকায় সরকারের কাজকর্ম যথেষ্ট বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের ভেতরে অনৈক্য ও সমন্বয়হীনতাকে প্রকট করে তুলেছে।

শেয়ার করুন