এক সংসদ বহাল রেখে আরেক সংসদ নির্বাচনের যে স্বপ্ন বর্তমান সরকার দেখছে সেই দুঃস্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সব দল এক পয়েন্টে এসে আন্দোলনে নেমে পড়বে। আন্দোলনের মুখে সরকাকে অচল করে দেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
শনিবার প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফাউন্ডেশন ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবদল নেতা মোঃ আলী আকবর চুন্নু। বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন প্রমূখ।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই আরেক সংসদ নির্বাচনের যে কথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সেই নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। যদি এমন নির্বাচন হয়, তাতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল অংশ নেবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ মানবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের দাবি উপেক্ষা করে সংবিধানের কথা বলেন। আপনারা কেন সংবিধানে না থাকলেও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন?
তিনি বলেন, জনগণের জন্যই সংবিধান। সংবিধানের জন্য জনগণ নয়। জনগণের ইচ্ছার যখন প্রতিফলন ঘটবে, গণজোয়ারের মুখে সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
মওদুদ বলেন,সরকার সংবিধান সংশোধন করুক আর না করুক নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। যারা (দল) দূরে থেকে বলছেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা ছাড়া বাকিরা সবাই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এক পয়েন্টে এসে আন্দোলন করবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ভীষণ সঙ্কটে রয়েছে। সেই সঙ্কট সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার। একাই দেশ শাসন করতে এবং অর্থের লোভে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে সরকার। বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয় তবে গণততেন্ত্রর মৃত্যু ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।