বগুড়ার শাজাহানপুরে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী (১৫)কে বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বড়পাথার মধ্যপাড়া গ্রামে । এঘটনায় গোটা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চত করে বলেছেন, তিনি বিষয়টি অবহিত আছেন, মেয়ের বাবার সাথেও তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলেই তার সাথে কথা বলবেন এবং তার জবানবন্ধি নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর ফুপুর বিবাহ অনুষ্ঠান চলাকালে এলাকার কতিপয় মুখচেনা বখাটে সে খানে যায়। অনুষ্ঠান শেষের দিকে সেখানে থাকা কয়েকজন উৎসাহী যুবক যুবতী নাচ-গান করার জন্য ওই ছাত্রীর কাছে থাকা মোবাইলের মেমোরী কার্ড নেবার চেষ্টা করে । এর এক পর্যায়ে তাকে কোথাও খুজে না পাওয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়। আশ পাশে খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ীর পার্শ্ববতী একটি বাশঁ বাঁশঝাড়ের ভিতর তাকে গলায় ফাঁস লাগানো অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ।
এসময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা ৪/৫জন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে জরুরী ভিত্তিতে তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। শেষ খবর পর্যন্ত ওই কিশোরীর জ্ঞান ফিরে আসেনি এমনটাই জানান কিশোরীর পরিবার ।
এদিকে প্রকৃতভাবে কারা এধরনের দুধর্ষ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি । কিশোরীর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ষ্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তার নিকট আত্বিয় স্বজনরা । অপর দিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের কারনে ওই কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতন ও তার শ্লিলতাহানী ঘটানোর বিষয়টিও ইচ্ছ্ াকরে চেপে যাবার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী ।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার কালে তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে । গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে এ বিষয়টিও এক রকম পরিস্কার ভাবে সকলের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে ।
এদিকে ঘটনার পর অন্তত নিয়ম রক্ষার খাতিরে হলেও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে সর্ব সাধারনের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসতো এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী । শেষ খবর পর্যন্ত মামলা হয়নি।