কালিয়াকৈর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব চান্দরা গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময়ে একটি পক্ষ হামলা চালিয়ে কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করেছে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
পুলিশ কর্মকর্তা মনোয়ার এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রতনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী খান ও পূর্ব চান্দরা গ্রামের শাহিন মিয়াসহ কয়েজন যুবকের মধ্যে বিরোধ ছিল।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মোহাম্মদ আলী ২০-২৫ জন যুবককে নিয়ে পূর্ব চান্দরা গ্রামে এসে শাহীনসহ কয়েকজনকে মারধর করে।
তাদের বিবাধ মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকালে পূর্ব চান্দরা মন্দিরের সামনে বৈঠকের আয়োজন করে।
“মাতবরদের সালিশ না মেনে রতনপুর গ্রামের আলী, আসলাম, সাদ্দাম, সুমন ও পাপনসহ কয়েকজন যুবক শাহিন, রিয়াজ ও পবিত্র বর্মনের ওপর হামলা চালায়,” বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আত্মরক্ষার জন্য তারা মন্দিরে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানে ঢুকে মারধরের পাশাপাশি দুর্গাপূজার জন্য নতুন তৈরি মূর্তি ভাংচুর করে পালিয়ে যায় বলে এসআই মনোয়ার জানান।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মন্দিরের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র বর্মন বলেন, মুর্তিগুলো ভেঙে ফেলায় এই গ্রামের হিন্দুদের পূজা করা বন্ধ হয়ে গেল।
মন্দিরের মালিক অভিলাষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এবারের পূজার জন্য সবার সহযোগিতায় ৮০ হাজার টাকায় মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল।
“মূর্তি ভেঙে ফেলায় এবার আমাদের গ্রামের পূজা করা সম্ভব নয়।”







