সাতক্ষীরায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ : আহত ১০

0
278
Print Friendly, PDF & Email

সাতক্ষীরায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। নিহত বিএনপি নেতা শেখ আমান উল্লাহ আমান (৩৮) জেলা মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পুরাতন সাতক্ষীরার আব্দুল আজিজ এর পুত্র। শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর তিনি বিকালে খুলনায় সার্জিক্যাল ক্লিনিকে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার সকালে বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা। এছাড়া বিএনপি’র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন নেতার বক্তব্য শেষে স্বেচ্ছা সেবকদলের এড. কামরুজ্জামান ভুট্রোকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নাম ঘোষনা হলে জেলা জাসাসের সভাপতি তাতে আপত্তি তোলেন। এনিয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ লোহার রড, লাঠি ও হকস্টিক নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ব্যাপক সংঘর্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জড়ো হওয়া নারী-পুরুষ ও পথচারিরা আতংকে দিগ-বিদিক ছুটতে থাকে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, তরুনদলের মাসুম বিল্লাহ, মৎস্যজীবিদলের সেলিম হোসেন, লিটন ও বিএনপি কর্মী আব্দুল করিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আমান উল্লাহ আমানকে ডাক্তাররা খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সেখান থেকে সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সোয়া চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আমান উল্লাহ আমানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র সভাপতি এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আলী গ্রুপের দীর্ঘদিনের প্রকাশ্য দ্বন্দ আরও জটিল করে তুলেছে। দু’গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপি নেতা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন