শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে দলের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় দিনাজপুর, জামালপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, গাজীপুর ও ভোলা জেলা এবং এসব জেলার উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন । প্রধানমন্ত্রী এসময় তাদের কাছ থেকে তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের নাম সংগ্রহ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সাংবিধানিক উপায়েই হবে। নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। তারা আর কত কষ্ট করবে। সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচন, কাউকে না কাউকে শুরু করতে হবে। আওয়ামী লীগই এবার এটি শুরু করে যাবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না। ২০০১ সালে বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে বলেই তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে নি। তারা লুটপাট করেছে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, সারা দেশে এক সঙ্গে ৫’শ জায়গায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কোনো একটা জায়গা থেকে শুরু করতেই হবে। যাতে দেশ ও জাতিকে বারবার অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচনে যে কোনো ফল মেনে নিতে তিনি প্রস্তুত বলে জানান।আইন অমান্য করে কেউ ক্ষমতায় আসলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে সংবিধানে।’