জামায়াতকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬ষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে তারেক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি নামে এক সংগঠন।
গয়েশ্বর বলেন, জামায়াতকে কমপেনসেশন দিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলিং, আর কিছু না। তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা, আর নইলে রাজাকার হয়ে যায় জামায়াত। জামায়াত কি করে জানি না, সরকার চেষ্টা করছে।
তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপিকে তিলে তিলে মারার বিষাক্ত ছোবল আসতে পারে, প্রস্তুত থাকেন।
গয়েশ্বর বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে খালেদা ও তারেককে আটকের সাহস কারও হতো না। হয়েছে, কারণ তারেকের কাছের যারা ছিল সুবিধাভোগী, তারা আগেই বিবৃতি দেওয়া শুরু করেছিল বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, অতীত সুবিধাভোগীদের নতুন করে দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। অপরাধীদের ক্ষমা করা যায়, পুরস্কৃত করা যায় না। এর পরিণাম ভোগ করতে হবে আমাদের। তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের রুখে দাঁড়াতে হবে এ পরিস্থিতি দমাতে।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় তিনি বলেন, তিনি ভাবছেন পৈতৃক সূত্রে তিনি দেশটার মালিক। তাই তিনি জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করছেন না। দেশের মানুষের প্রতি যদি সম্মান ও বিশ্বাস তার থাকতো, তাহলে সরকারি আমলাদের নিয়ে এমন কথা বলতে পারতেন না।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়া যেমন কিছু রেখে যাননি বংশধরদের জন্য, খালেদা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও দুদক সম্পদ বিষয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলতে পারেন নি।বাড়ি ছাড়া হওয়ার পরে দেখা গেল খালেদা জিয়ার আরেকটি বাড়ি নেই।
গয়েশ্বর বলেন, তারেকের পক্ষে আমরা অনেক দুর্নীতি করেছি। তাই এখন তারেকের দুর্নীতির বিপক্ষে কথা বলার লোক পাওয়া যায় না।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. কবির হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আকম মোজাম্মেল হক, রমনা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।