এসময়ের অন্যতম সেরা নায়িকা হওয়া সত্ত্বেও মেদবহুল শরীরের জন্য বরাবরই সমালোচকের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে অপু বিশ্বাসকে। এজন্য তিনি পণ করেছিলেন যেকোন মূল্যেই হোক নিজের ওজন কমাতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। বেশ অনেকদিন ধরেই ওজন কমাতে কঠোর সাধনায় লিপ্ত রয়েছেন তিনি। তার ওপর ঈদুল ফিতরের ছবি ‘মাই নেম ইজ খান’ এর সাফল্যে তাকে করে তুলেছে আরো আত্মবিশ্বাসী। ফলাফল, গত ছয় মাসে কঠোর সাধনার মাধ্যমে প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। ছিপছিপে, চটপটে আর আত্মবিশ্বাসী অপু’র নতুন রূপ দেখে চমকে গেছে অনেকেই!
অপু বিশ্বাস ঢালিউডের চলচ্চিত্রে গত কয়েক বছর ধরে একক ভাবে রাজত্ব করেছেন। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সালমান শাহ-শাবনূর পরবর্তী সময়ে শাকিব-অপুই বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল জুটি। তবে মুটিয়ে যাওয়ার কারণে মাঝে কিছুটা সময় তার ক্যারিয়ারে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিলো। বাড়তি মেদ ঝরানো পরে নতুন রূপে অপু বিশ্বাসের বয়সও যেন কমে গেছে কয়েক বছর।
ওজন কমানোর পদ্ধতি হিসাবে অপু বিশ্বাস বলেন, “আমি কোন চিকিৎসা নিচ্ছি না। ডায়েটও করছি না। আমি যেটা করি সেটা হল নিয়মিত জীমে ব্যায়াম করছি। একজন ট্রেইনার আছেন আমার। তিনি আমাকে নিয়মিত গাইড করেন।”
অপুর স্মার্টরূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তারও ইচ্ছা ক্যারিয়ারে আরো অনেক দূর যাওয়ার। তাই নব উদ্যমে ঢালিউডে আবারও এক নাম্বার নায়িকার আসন নিজের দখলে নিতে লড়াই করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অপু। এখন তার সামনে শুধুই শুভদিন।
তার এই সাধনা অনেক মুটিয়ে যাওয়া মানুষের মনে নতুন আত্মবিশ্বাস জন্ম দেবে তা নি:সন্দেহে বলা যায়।