লোকসানের মুখে সরকারী পাটকল, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। দেশের বেশিরভাগ সরকারি পাটকল লোকসানের মুখে পড়েছে। উৎপাদনে থাকা মাত্র ২টি পাটকল লাভজনক অবস্থায় আছে। এ দুইটি পাটকলের লাভের কারণ হিসাবে বাংলদেশ জুট মিল করপোরেশন বলছে, ট্রেড ইউনিয়নের প্রভাব না থাকা ও খণ্ডকালীন এবং উৎপাদনের ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগের ফলেই এই লাভ হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, পাটকল গুলোর পুনর্গঠনে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যের মুক্তরূপ পাট ব্যবহারের নব যুগ কিংবা ‘পাটের ব্যাগ কিনে নিন আসবে দেশে শুভ দিন’ পাটের ব্যবহার ও বাণিজ্য বাড়াতে এমন শ্লোগান দেখা গেলেও বাস্তব চিত্র হলো এখন সরকারি বেসরকারি দেড়শোর বেশি পাটকলের অর্ধেকই উৎপাদনে নেই। সরকারি মালিকানার ২৭টি পাটকলের ১টি বন্ধ আর সিরাজগঞ্জের জাতীয় পাটকল এবং খুলনার খালিশপুর জুট মিল ছাড়া বাকী ২৪টি পাটকলেই সরকার লোকসান গুনছে। ২টি পাটকলের লাভে থাকার কারণ হিসাবে বিজিএমসি বলছে, খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে বলেই লাভের মুখ দেখেছে প্রতিষ্ঠান দুইটি।
লোকসানী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশী হলেও বিজিএমসির হিসাবে বিক্রি বেড়েছে। তাদের হিসাবে, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৬শ’ ৫ টন পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১১শ’ ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪৫ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৭শ’ ৭৬ টন রপ্তানি থেকে আয় ১৫০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিক্রি বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি পাটকলের এই ধারাবাহিক লোকসানের বোঝা কমিয়ে পাটের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের ভাবা উচিত। এছাড়া, বিশ্ববাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটের নতুন নতুন পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণ এবং শিল্পের আধুনিকায়নের পরামর্শ বিশ্লেষকদের