ফরিদপুরে জেলায় আউশ গোত্রিয় নেরিকা-১০ জাতের ধান আবাদ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। অন্য ধানের তুলনায় এ ধান আবাদে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া গেছে বলে কৃষিবিদ ও কৃষকদের দাবী।
এছাড়া অল্পদিনেই এ ধান ঘরে তোলা যায় বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামে এক একর চল্লিশ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে নেরিকো-১০ জাতের ধান আবাদ করে এ সুফল পাওয়া গেছে।
ওই এলাকার নেরিকা-১০ জাতের প্রদর্শনী খামার চাষীরা জানান, তারা সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই ধান চাষ করে বিঘায় প্রায় ১৮ মন ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন।
রোপন থেকে কর্তন পর্যন্ত সময় লেগেছে ১১৩ দিন। অর্থাৎ নেরিকা-১০ জাতের ধান চাষে দ্বিগুণ ধান উৎপাদন সম্ভব।
কৃষকরা জানান, এবারই প্রথম এই জাতের ধানের রোপন করা হয়। সরকার সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে প্রতি বিঘায় বিভিন্ন ধরণের ৫০ কেজি সার এবং জমি পরিচর্যা ও সেচ ব্যবস্থার জন্য নগদ ৬‘শ করে টাকা দেন।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জানান, কৃষিমন্ত্রী সুদূর আফ্রিকা থেকে এ জাতটি দেশে নিয়ে আসেন। আউশ মৌসুমে দেশে স্থানীয় যে জাত চাষ করা হয় তার থেকে নেরিকা-১০ জাতের ধান বেশী উৎপাদন হবে।
তিনি জানান, এ জাতের ধানের বৈশিষ্ট হচ্ছে- খরা সহিষ্ণু এবং সেচ কম লাগে। প্রতি হেক্টর জমিতে কম পক্ষে ৫.৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব।