নওগাঁ জেলা সদরের পরই অতি গুরুত্বপূর্ণ পতœীতলা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির এখন বেহাল অবস্থা। জনবল সঙ্কটে ইওসি প্রোগ্রাম স্থবির হয়ে পড়েছে। মাত্র ৩ জন ডাক্তার এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা গেছে, হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী সঙ্কট; এ ছাড়া হাসপাতালের কিছু অসাধু স্টাফদের সহযোগিতায় রোগীদের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা অপারেশনের জন্য পাঠানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ডাক্তার সঙ্কটে ইওসি প্রোগ্রামের বেহাল অবস্থা চলছে। পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদা অনুযায়ী প্রসূতি সিজারসহ অন্য ছোটখাটো অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নার্সের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা তাই বাধ্য হয়ে ছুটছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বেড়ে গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিসহ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২২ জন ডাক্তার কর্তব্যরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে এখানে দায়িত্বে আছেন মাত্র ৩ জন। এরা হলেন- স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোকাররম হোসেন, ডা. মুক্তার আলী ও ডা. সিরাজুম মনিরা চৌধুরী। তবে সম্প্রতি যোগদানকৃত ডা. আব্দুর রহমান আকন্দ (গাইনী) জেলা সদরে ডেপুটিশনে রয়েছেন। অপরদিকে নার্স ১৫ জন কর্তব্যরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে এখানে দায়িত্বে আছেন ৭ জন। মাঠকর্মী ৫১ জনের স্থলে বর্তমানে এখানে দায়িত্বে আছেন ৪৪ জন ও সুইপার ৫ জনের স্থলে রয়েছে মাত্র ৩ জন। এ ছাড়াও সাব-সেন্টারগুলোতে ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোন ডাক্তার নেই। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আলাউদ্দীন স্টাফ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জানান, পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা ও শিশুসেবা নিশ্চিত করতে ইওসি প্রোগ্রাম সক্রিয় রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্য সমস্যাগুলো শীঘ্রই সমাধান করা হবে।