আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কাল বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, মহানগর এবং প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করবেন। কাল বুধবার বেলা তিনটায় গণভবনে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন সাতটি জেলার নেতাদের এই মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জেলাগুলো হলো দিনাজপুর, জামালপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, গাজীপুর ও ভোলা। এসব জেলা ও জেলাধীন থানা, উপজেলা এবং প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নেতারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। দলীয় সূত্র জানায়, মতবিনিময়ের সময় তৃণমূল নেতাদের একটি ফরম দেওয়া হবে। তা তখনই পূরণ করে সভানেত্রীর কাছে দিতে হবে। ফরমে ২০টি প্রশ্ন থাকতে পারে। প্রশ্নের উত্তর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মাঠের চিত্র উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। বর্তমান সাংসদের ভাবমূর্তি সম্পর্কেও জানা যাবে। তবে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন ডাকা হইছে জানি না। বৈঠকে গেলে বুঝতে পারব।’ মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণভবনের বৈঠকে যোগ দিতে আমাদের বলা হয়েছে। কিন্তু কেন বৈঠক, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তাই কোনো প্রস্তুতিও নেই।’ আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বৈঠকটি হবে। দলের উচ্চপর্যায়ে সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের ইশতেহার তৈরির কাজও শুরু হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো সারা দেশে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও মসিউর রহমানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীকেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে রাখা হয়েছে। সারা দেশে ছয় লাখ কর্মীকে পোলিং এজেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেটিক ইন্টারন্যাশনালের সহায়তা নেওয়া হবে। এ মাসেই প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা।