শনিবার রাত নটার দিকে তারা গাজীপুরের কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক তাসলিমা বেগম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঐশীকে অনেকটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। তবে, তার কোনো অসুবিধা হলে আমাকে জানাতে বলেছি।”
১৫০ জন ধারণক্ষমতার এই উন্নয়ন কেন্দ্রটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে ১১০ জন কিশোরী রয়েছে।
তাসলিমা বলেন, তাদেরকে মানসিক পরিবর্তনে কাউন্সেলিং দেয়া হয়। এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতের কাজের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়।
উন্নয়ন কেন্দ্রে রাত ৯টা পর্যন্ত ঐশীর পরিবারের কেউ দেখা করতে যাননি বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।
গত ১৬ অগাস্ট ঢাকার চামেলীবাগে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের এসবির পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ঘর ছেড়ে যাওয়ায় তাদের মেয়ে ঐশীকে সন্দেহ করে পুলিশ। পরদিন ঐশী পুলিশের কাছে ধরা দেয়। পুলিশ আটক করে রনি ও শিশু গৃহকর্মী সুমিকে।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী ঐশী তার বাবা ও মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।