ভারতের মুম্বইয়ে তরুণী এক ফটো সাংবাদিক এবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ মুম্বইয়ের পারেল এলাকার শক্তি মিল কম্পাউন্ডে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। ৫ জন
পালাক্রমে তার ওপর উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন চালায়। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে ওই তরুণী তার এক পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে একটি অ্যাসাইনমেন্টে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি পরিত্যক্ত কারখানার ওপর ফিচার রিপোর্ট করতে গিয়েছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। সেখানেই তারা হামলার শিকার হন। পুরুষ সহকর্মীটিকে নির্মমভাবে মারধর করার পর তাকে বেঁধে রাখে ধর্ষণকারীরা। দিল্লি গণধর্ষণের সেই বিভীষিকা এখনও মুছে যায়নি কারও মন থেকে। এ ঘটনা আরও একবার সেই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে দিলো। মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিং বলেছেন, ৭ থেকে ৮ জন ওই সাংবাদিকদের ঘিরে ধরেছিল। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ২০ ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। তবে এনডিটিভি জানিয়েছে পুলিশ ইতিমধ্যেই ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তি অপরাধের কথা স্বীকার করেছে এবং বাকি চারজনকে চিহ্নিত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যাবে বলে পুলিশ আশা করছে। ধর্ষিতা ফটো সাংবাদিক ও তার সহকর্মীকে স্থানীয় জাসলোক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার এক ডাক্তার গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার শিকার তরুণী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তার ভেতরে এবং বাইরে বেশ কিছু ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। তবে তিনি অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে একটি মামলা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন মুম্বইয়ের সাধারণ জনতাসহ মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক সমাজ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল তারা দক্ষিণ মুম্বইয়ে মৌন মিছিল করেছেন। সারা দেশে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পাবার অভিযোগ এনে পার্লামেন্টে রিরোধী দল বিজেপি মহরাষ্ট্র এবং কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসে তীব্র সমালোচনা করেছে।