পাট-ধান দুই-ই যাবে…

0
184
Print Friendly, PDF & Email

বৃষ্টির কারণে হাহুতাশ করছেন কৃষকরা। পাট কাটার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। খাল বিলে পানি নেই। ফলে চাষিরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। সময় মতো পাট কাটতে না পারলে আমন মওসুম পেরিয়ে যাবে। তখন পাট আর আমন চাষ ভেস্তে যাবে। মাথায় হাত পড়বে। বাড়বে দেনা। এমন এক সংকট নিয়ে পাট কেটে ক্ষেতের আলে ফেলে রেখে চেষ্টা করছেন কিভাবে পচানো যায়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা কষ্টের অলস সময় পার করছেন। পানি সংকট এই সমস্যাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এমন দৃশ্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের। কৃষকরা জানান, মাঠের পর মাঠে দাঁড়িয়ে আছে শত শত হেক্টর পাট। পাট কেটে ধান লাগানোর কথা। চারার বয়সও হয়ে গেছে। কিন্তু পাটই কাটতে পারেনি তারা। পাট জাগ দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত পানি নেই। তীব্র পানির সংকটে পাট নিয়ে মহাবিপাকে রয়েছেন। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই অনেক কৃষক পাট কেটে জমির পাশে ফেলে রেখেছেন। অনেকে এক এলাকার পাট অন্য এলাকার খালে বিলে জাগ দেয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কৃষকদের শ্রমিক ও পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অপরদিকে কৃষি বিভাগের রিবোন রেটিং পদ্ধতি কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। কৃষকদের নামকাওয়াস্তে প্রশিক্ষণ, সচেতনতার ও প্রচারণার অভাবে এ পদ্ধতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। পুরো উপজেলা ঘুরে একজন কৃষককেও এ পদ্ধতিতে পাট ছাড়িয়ে জাগ দেয়ার কৃষক পাওয়া যায়নি। ভেড়ামারা উপজেলায় এ বছর পাট চাষ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৮৫ হেক্টর। শুধু পানির অভাবে পাট জাগ দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় রোপা আমনের ভরা মওসুমেও পাট কাটা হয়নি এখানে। এ পর্যন্ত মাত্র ৮শ’ হেক্টর জমির পাট কাটা হয়েছে। এখনও বিস্তর পাট রয়ে গেছে জমিতে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে রোপা আমনের ভরা মওসুম চলছে। এ মওসুমে জুলাই মাসের ১৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ধান লাগানোর সময়। এ বছর উফশি ৫১ হাজার হেক্টর এবং স্থানীয় ১শ’ হেক্টর জমিতে ধান লাগানোর টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু পাট কাটতে না পারায় এখনও ধান লাগাতে পারেনি কৃষকরা। এ বছর ধান লাগানোর টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জুনিয়াদহ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, রোপা আমনের ভরা মওসুম চলছে। কিন্তু পানির অভাবে কৃষকরা পাট কাটতে না পারায় এখনও ধান লাগাতে পারছেন না।

শেয়ার করুন