পুলিশ দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক তাদের মেয়ে ঐশী রহমান, গৃহকর্মী সুমি ও ঐশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমানকে রিমান্ডের শেষ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। শুক্রবার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের শেষ দিন। অথচ পুলিশ বলছে, রিমান্ডে ঐশী রহমান এখনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে। সে কারণে আজ শনিবার আদালতে হাজির করে আবারও রিমান্ডের আবেদন করবে তারা।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, আজ শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি তাদের আবার রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হবে। এছাড়াও ঐশীর আরো দুই বন্ধু জনি ও সাইদুলকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৬ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর ২ চামেলীবাগের চ্যামেলী ম্যানসনের ছয়তলার বাসা থেকে পুলিশ দম্পতি এসবির পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া যায়। পরের দিন শনিবার দুপুরে ঐশী পল্টন থানায় আ�সমর্পণ করে। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক, গোয়েন্দা পুলিশ তাদের বাড়ির গৃহকর্মী সুমি ও ঐশীর বন্ধু রনিকে আটক করে।
এরপর রোববার অর্থাৎ ১৮ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত পাঁচ দিন করে প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রটি জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ঐশী খুনের মোটিভ জানায়। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে মাদকাসক্ত ঐশীর অবাঁধ চলাফেরায় বাঁধ সাধলে তাদের খুনের পরিকল্পনা করে। পরে তার বন্ধুদের দিয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। খুনের সঙ্গে জড়িত আরো দুই বন্ধু পলাতক জনি ও সাইদুলের নাম প্রকাশ করে ঐশী। পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘গত পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কারণ, কারা জড়িত, তাদের নাম বলে দেয় ঐশী। তার এই জবানবন্দি আমরা ভিডিও আকারে রেকর্ড করি। ঐশীকে নিয়ে আমরা তাদের তাদের বাসাতেও যাই। তবে কিছু কিছু তথ্যে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে।’ কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করতে পঞ্চম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যদি এই বিষয়টি পরিস্কার না হয়, তবে আমরা আবার রিমান্ডের আবেদন জানাবো। তবে কী সেই বিভ্রান্তি, জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা জানাবো।
এদিকে, ঐশীর ঘনিষ্ঠ আরো দুই বন্ধু জনি ও সাইদুলকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আটক করতে সব রকমের চেষ্টাই চালানো হচ্ছে।