আন্দোলনে নড়চড় হবে না: ফখরুল

0
139
Print Friendly, PDF & Email

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের টেলিফোন আলাপের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে থেকে তারা নড়বেন না।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছেন, সংবিধান মেনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন করা হবে। আগামী মাসে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল কোনো প্রস্তাব দিলে সরকার তাদের স্বাগত জানাবে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর বিকালে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন দলের মুখপাত্র।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের এক যৌথ সভার পর তিনি বলেন, “নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আমরা আন্দোলনে আছি। এই লক্ষ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের থানা ও মাঠ পর্যায়ে কর্মীসভা হবে। এরপর আগামী কোরবানি ঈদ শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিরোধী দলীয় নেতা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।”

ঢাকার মহাসমাবেশের দিনক্ষণ পরে জানানো হবে বলেও জানান ফখরুল।

নয়া পল্টনের এই যৌথ সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, যুগা¥ মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, যুব দল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর শরিকরা।

সংবিধান অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষভাগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আগামী  নির্বাচন হবে। অবশ্য এতে রাজি নয় বিএনপি।

যৌথসভার সিদ্ধান্ত

এদিকে যৌথসভায় ঢাকা মহানগরের ২৫টি স্থানে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ৪৯টি থানা ও ১০০টি ওয়ার্ডেও অনুরূপ কর্মীসভা করবে মহানগর বিএনপি।

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী, ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা, ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল এবং ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা হবে। এসব জনসভায় খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখবেন।

তবে চট্টগ্রামের জনসভার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

শেয়ার করুন