সীমান্তে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ

0
187
Print Friendly, PDF & Email

সীমান্তে ধর্ষণের শিকার হওয়া এক বাংলাদেশি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সন্দেহভাজন ধর্ষক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য সুরজিৎ দেববর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

ওই নারীর অভিযোগ, সুরজিত্ দেববর্মা তাঁর শিশুসন্তানের সামনে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনার দেড় মাস পরও সুরজিেক গ্রেপ্তার না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মাসুম। ওই নারী দেড় মাস ধরে তাঁর ছয় বছরের ছেলেসহ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ কারাগারে আটক রয়েছেন।

মাসুম বাংলাদেশি ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে। আজ শুক্রবার তাদের পক্ষ থেকে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত জওয়ান সুরজিত্ দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশি নারী ও তাঁর শিশুকে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই নারী ও তাঁর শিশুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে সেফ হোমে রাখতে হবে। তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া তদন্তকাজে পুলিশ বা বিএসএফ কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

বিকেলে মাসুমের পক্ষ থেকে প্রথম আলো ডটকমকে জানানো হয়,  আইন অনুসারে কোনো বাংলাদেশি ফৌজদারি অপরাধ না করলে তাঁকে আর কারাগারে রাখা যাবে না। তাই অনতিবিলম্বে ওই নারী ও তাঁর শিশুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে হোমে রাখতে হবে।

ওই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তিনি ভারতের মুম্বাই শহরে পরিচারিকার কাজ করেন। অসুস্থ বাবাকে দেখতে তিনি ভারত থেকে দেশের বাড়ি যাচ্ছিলেন ।

ওই নারীর অভিযোগ, গত ১১ জুলাই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার আংরাইলের ক্ষেতপাড়া  সীমান্ত দিয়ে দালালের সাহায্যে তিনি ও কয়েকজন বাংলাদেশে ঢুকছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাঁদের তাড়া করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যান।  তিনি পাশের এক লেবুবাগানে তাঁর শিশুকে নিয়ে লুকিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ জওয়ান সুরজিৎ দেববর্মা তাঁকে শিশুসহ ধরে ফেলেন। সেখানে সুরজিৎ শিশুর সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁকে গাইঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন।

গাইঘাটা থানা পুলিশ ওই নারীর অভিযোগ শোনার পরে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। সুরজিৎ দেববর্মার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও ওই নারীর বিরুদ্ধে  অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাস পরও ওই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্ত  সুরজিৎ দেববর্মার  বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। বিএসএফ ওই জওয়ানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন