রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৫ জনকে আটক করেছে মহানগরীর মতিহার থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঘটনার পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত রাবি সংলগ্ন মেহরেচন্ডি, বুথপাড়া, কাজলা ও বিনোদপুরসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। বর্তমানে এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় থাকা আটককৃতদের মধ্যে অনেককেই এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর কথা রয়েছে।
মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবদুস সোবহান জানান, ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের ওপর হামলাকারী সন্দেহে রাতভর বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের হলে তাদের মধ্যে অনেককেই এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
এদিকে, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পর শুক্রবার সকালে তুহিনের আরও একটি জরুরি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এর পরপরই তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সঙ্গে থাকা রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তুহিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে গুরুতর অবস্থায় রাত ১২টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় অ্যাম্বুলেন্সটি পঙ্গু হাসপাতালে পৌঁছায়। পৌনে আটটায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।