গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে অশান্তি দূর করতে ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ইউনূস সেন্টারে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। এ অশান্তি দেশের মানুষের প্রাপ্য নয়। কারও কারও ইচ্ছার কারণে, কোনো দল বা দলসমূহের ইচ্ছার কারণে যদি অশান্তির সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সমঝোতায় আসুন। আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণেই হতে হবে।’
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কর্তৃত্ব ছাড়া হতে পারে না এবং তা কেউ মানবে না।’ তিনি বলেন, ‘যে রেফারিকে কেউ বিশ্বাস করে না, তিনি জোর করে রেফারি হবেন। নিজেই খেলায় অংশ নেবেন। এমন জবরদস্তি হিটলারও করেছিল কি না, আমার সন্দেহ হয়।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, যাঁর কাছে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান নিরাপদ নয়, তাঁর কাছে দেশ নিরাপদ থাকতে পারে না। এ রকম অপরিণামদর্শীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখা প্রয়োজন।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি জানান, তাঁর দল কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের পাশে থাকবে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষতি হতে দেবে না। গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসে সরকার যে পাঁয়তারা করছে, তা রুখে দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
এ সময় নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।