মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে সাংবাদিকদের মূল্যায়ন : বাংলাদেশে গণতন্ত্র আবার হুমকির মুখে, পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ

0
107
Print Friendly, PDF & Email

বাংলাদেশে গণতন্ত্র আবার হুমকির মুখে। সেখানে এখন বিরাজ করছে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকরা এই মূল্যায়ন তুলে ধরেন। গত ২০ তারিখে পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র মেরি হার্পের কাছে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের সঙ্গে যেকোনো আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে আগামী দিনগুলো হতে পারে বিস্ফোরণোন্মুখ। আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধীদলীয় নেত্রী তার অবস্থান নিয়েছেন। শেখ হাসিনা প্রশাসনের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ফলে পরিস্থিতি ভিন্ন এক আকার ধারণ করছে। তবে এর জবাবে মেরি হার্প এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি সাংবাদিকদের। মেরি হার্প সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, এখন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা শুরু করা যাক। আপনাদের কাছে যদি এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে তাহলে আমি সে প্রসঙ্গে ফিরতে পারি। এরপর সাংবাদিকরা বলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা যেমন বলছিলাম, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন আবার হুমকির মুখে। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের সঙ্গে যে কোনো আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা হলো আগামী দিনগুলো হতে পারে অত্যন্ত বিস্ফোরণোন্মুখ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধীদলীয় নেত্রী তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা ভিন্ন এক রকম। আমরা আশা করছি, সেখানে সহিংসতা ও রক্তপাত হবে না। কিন্তু সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এখন মৃত্যু আতঙ্কে। কারণ, যদি নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং নির্বাচনে কোনো ঘটনা ঘটে, তার প্রভাব হয়তো সংখ্যালঘুদের ওপর পড়বে। বিশেষ করে, আমাদের বড় প্রতিবেশী ভারত। তারা বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে যা ঘটছে তা অত্যন্ত বিস্ফোরণোন্মুখ। তারা ঠিকই এ বিষয়টি চিহ্নিত করেছে।
এক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অবস্থান কী? বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বিরোধীদলীয় পলিসি মেকার বেগম জিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ একটি আলোচনা করেছেন। তাতে কী আলোচনা হয়েছে আমরা তা-ও জানতে পারিনি। সেখানে কি সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্য সরকার নিয়ে বিশেষ কোনো পরামর্শ অথবা নির্বাচনের পরে রক্তপাত বন্ধের বিষয়ে কথা হয়েছে কি-না তা জানি না। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দৃশ্যত চুপ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা অত্যন্ত জটিল। সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এবং মূল্যায়ন সম্পর্কে মেরি হার্প বলেন, আমি এ প্রশ্নের প্রশংসা করি। আপনার জন্য এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। আপনাকে জানানোর মতো কোনো কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ও আমার হাতে নেই। পরিষ্কারভাবে আমরা সংখ্যালঘুদের অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা পৃথিবীর যে কোনো স্থানের সংখ্যালঘুদের অধিকারের বেলায় এমন অবস্থান নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের বেলায়ও আমাদের অবস্থান একই রকম। আপনি যা জানতে চেয়েছেন সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাকে আমি দিতে পারতাম। কিন্তু এখনই তা পারছি না। ঠিক এ মুহূর্তে আমার কাছে বাড়তি কোনো তথ্য নেই। তবে আপনার এ প্রশ্নের বিষয়টি আমার মাথায় থাকবে।

শেয়ার করুন