ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আ’লীগ এক চুলও নড়তে চায় না: মির্জা ফখরুল

0
99
Print Friendly, PDF & Email

এক চুলও নড়বেন না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা জানি আপনারা এক চুলও নড়বেন না। কারণ এক চুল সরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার  আনলে আপনারা ক্ষমতা থেকে যোজন যোজন দূরে চলে যাবেন।

তিনি বলেন, তাই আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজেদের ইচ্ছেমতো সংবিধান পরিবর্তন করে বিধি-বিধান তৈরি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষ নিন। এর আগে কেউই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা না থাকলে ক্ষমতায় থাকা যায় না।
 
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ আয়োজিত বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারকে নিয়ে লেখা স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এতো উন্নয়নের কথা বলছেন, তারপরও ৫ সিটি নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। তার একটি মাত্র কারণ সরকার জনগণের চোখ ও মনের ভাষা বুঝতে পারছে না।

তিনি বলেন, সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার উদগ্র বাসনা দেশকে অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। ভয়ঙ্কর দানবীয় শক্তিতে জনগণের ওপর চেপে বসেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।

দলের এই মুখপাত্র বলেন,  বর্তমান সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করেছে। তারা একদলীয় শাসন কায়েম করতে ভিন্নপথে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

তিনি বলেন, তারা সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করেছে যাতে নির্বাচন না হলেও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন। এটা কোনো সংবিধান নয়।

মির্জা আলমগীর বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে এবং তা সময় মতোই হতে হবে। না হলে জনগণের আন্দোলনে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন-সাধ চিরতরে ভেঙ্গে যাবে।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার ছিলেন সেই নেতা যিনি চরম দুঃসময়ে খালেদা জিয়ার পাশে থেকে দলের হাল ধরেছিলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বিএনপিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বিএনপিতে তার অবদান অপূরণীয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান,  ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, এডভোকেট আহমেদ আযম খান, মীর নাসির উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, সহদফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, যুববিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী মনি এমপি, যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল বারী ড্যানী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রশীদ হাবীব প্রমুখ।

শেয়ার করুন