দুদকের মামলা, সাব-রেজিস্ট্রার থেকে কোটিপতি!

0
210
Print Friendly, PDF & Email

টাইঙ্গল জেলার মির্জাপুরের সাব-রেজিস্ট্রার ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অবৈধ অপায়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।

চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর ১৭ বছরের মধ্যে রাজধানীর গ্রীণ রোড ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার মত বিলাশবহল জায়গায় দুইটি বাড়ি নির্মণ করেছেন।

নামে বে-নামে আরো কয়েক কোটি টাকা আছে রাজ্জাক ও তার স্ত্রীর নামে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দীর্ঘ নুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দু্র্নীতির বিষয়টি বেড়িয়ে এসেছে।

এই অভিযোগে মঙ্গলবার রাজধানীর রমনা মডেল থানায় আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী স্ত্রী জিনিয়া ফেরদৌসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি (মামলা নং-৩১, ৩২) দায়ের করেন।

আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারের উল্লেখ করা হয়, টাইঙ্গল জেলার মির্জাপুরের সাব-রেজিস্ট্রার ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ১৯৯৪ সালে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

চাকরির আয় ছাড়া তার অন্য কোনো বৈধ আয়ের উৎস নেই। অথচ তিনি ঢাকার গ্রীণরোডে ৯তলা ভবনে কার পার্কিংয়ের জায়গাসহ একটি ফ্ল্যাট এবং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ৬তলা ভবনে কার পার্কিংয়ের জায়গাসহ একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন।

তার কাছে দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হলে তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তা উল্লেখ করেননি। তিনি অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন্।

এদিকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলার (৩১ নম্বর) এজাহারে বলা হয়েছে, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জিনিয়া ফেরদৌসের কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থের দ্বারা তার নিজ নামে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩১ হাজার ৯১৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।
এই অভিযোগে তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।

শেয়ার করুন