তাদের সঙ্গে সমঝোতা নয়: আশরাফ

0
116
Print Friendly, PDF & Email

বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি ইংগিত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, যারা জাতীয় শোকের দিনে জন্মদিনের নামে ফূর্তি করে, তাদের সঙ্গে সরকার কোনো সংলাপ বা সমঝোতায় যাবে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তিনি বলেন, “কার সঙ্গে কিসের সংলাপ? তাদের সঙ্গে সংলাপ কখনো সম্ভব নয়। তাদের সাথে কোনো আলোচনা বা সমঝোতা সম্ভব নয়”।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নব্বইয়ের দশক থেকে এই দিনটিতে নিজের জন্মদিন পালন করে আসছেন খালেদা জিয়া, যা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বৃহস্পতিবারও জাতীয় শোক দিবসে দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে ৬৯তম জন্মদিন উদযাপন করেন খালেদা জিয়া।

নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোসহ বিভিন্ন মহলের সংলাপের চাপের মধ্যেই গত শুক্রবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিলে তারা আর আন্দোলন করবেন না।  

বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সরকারকে দাবি মেনে নিয়ে ‘সমঝোতায়’ আসার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। 

এ ধরনের কোনো সমঝোতা বা সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ শোক দিবসের অনুষ্ঠানে  বলেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতায় অনেক কিছু বলা যায়। এটা (জন্মদিন) রাজনীতি নয়। যারা কেক কেটে ফূর্তি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের কোনোদিনই মেনে নেবেন না।”

আওয়ামী লীগ তাদের ‘শতভাগ ঘৃণা করে’ জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেন, “তাদের সাথে কোনো আলোচনাও হবে না।”

শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আশরাফ বলেন, “গুজবে কান দেবেন না, তার প্রতি শতভাগ আস্থা থাকতে হবে। আস্থা থাকলে আমরা সব কিছু বাস্তবায়ন করব।”

আর দ্বিধা থাকলে ‘নেত্রীর জীবন’ হুমকির মুখে পড়বে বলে সবাইকে সতর্ক করে দেন তিনি।

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি দূতাবাসের ‘খবরদারির’ কঠোর সমালোচনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যারা সবক দেয়, তারা খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। রাষ্ট্রদূতদের সাথে প্রতিনিয়ত আমার কথা হয়। তারা কি চায় তা আমার জানা আছে। এ বিষয়েও আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের এই স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরাসহ দলের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন