দলীয় সরকারের অধীনে ‘একতরফা’ নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবে না জাতীয় পার্টি।পাতানো নির্বাচনে জাপা অংশ নেবে না: এরশাদ
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবি
দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তারা কোনো পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
রোববার বনানীতে নিজ কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এসব কথা বলেন এরশাদ।
ইসলামী দলগুলো নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। বৈঠকে সরব ছিলেন বেগম রওশন এরশাদ। মহাজোট ত্যাগে আগ্রহী প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সভায় নীরব ছিলেন।
কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য সমকালকে জানান, মহাজোট ছাড়া, না ছাড়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি সভায়। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এতে। এছাড়াও নতুন জোট গঠন সম্পর্কেও আলোচনা হয়।
তারা আরও জানান, দলের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য যথারীতি মহাজোটের বিরোধিতা করেন। নানা যুক্তি তুলে তারা এরশাদকে মহাজোট থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দেন। জবাবে এরশাদ বলেন, ‘এখনই মহাজোট ছাড়া না ছাড়ার বিষয়ে কিছু বলব না। তবে শেষ পর্যন্ত মহাজোটে থাকব না।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি মজিবুল হক চুন্নু বলেন, “আমরা এলাকায় যেতে পারি না। মানুষ আমাদের নিয়ে কথা বলে। আসলে আমাদের অবস্থান কোথায়। আপনি অবস্থান পরিষ্কার করুন।”
এরশাদ দলের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, “একতরফা নির্বাচন হলে আমরা তাতে যাব না। কোলাবরেট হয়ে মরতে চাই না। ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে পৃথক জোট করে নির্বাচন করব। সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন হলে তাতে আমি থাকব না।”
মহাজোট বিরোধী হিসেবে পরিচিত রওশন এরশাদ সভায় তার পদত্যাগ গুঞ্জন নিয়ে কথা বলেন। এরশাদ তাকে সংবাদপত্রের খবরে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরশাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রওশন বলেন, “কথায় কথায় বহিষ্কার, কমিটি ভেঙে দেওয়ার রীতি বন্ধ করতে হবে। যাকে তাকে নেতা বানানোও বন্ধ করতে হবে।”
সভা শেষে মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের এমপি, মজিবর রহমান এমপি, মো. আবুল কাশেম, এমএ হান্নান, গোলাম হাবিব দুলাল, করিম উদ্দিন ভরসা, ফকির আশরাফ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, মীর আবদুস সবুর আসুদসহ ৩৬ প্রেসিডিয়াম সদস্য।