সংবিধান থেকে সরকার এক চুলও নড়বে না-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি এক তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না। তারা একই সঙ্গে সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান সংযুক্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক তাত্ক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন এবং ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের আগে সংবিধানে কোনো সংশোধন হবে না। জনগণের ভোট নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এক চুলও নড়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা রাজনৈতিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ‘শুভবুদ্ধি’ হবে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজ সবাই আশা করেছিল, বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী জাতিকে পথ দেখাবেন, দিকনির্দেশনা দেবেন। কিন্তু জাতি হতাশ হয়েছে। তার বক্তব্যে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হওয়া, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু করা।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ফিরিস্তিকে ‘দুর্নীতির ফিরিস্তি’ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান না করে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে জনগণের মন জয় করা যায় না। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ও আশির দশকে এরশাদ উন্নয়ন করলেও গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন হয়েছিল।