আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়

0
161
Print Friendly, PDF & Email

সরকারি দল আওয়ামী লীগে ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি। গত এক বছরে সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই সময়ে দাফতরিক খরচসহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। আয় ও ব্যয় মিলিয়ে গত বছর আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়

রোববার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব অনেকটা গুছিয়ে আনা হয়েছে। এই হিসাব প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের হিসাব জমা দেওয়া হবে। বিএনপিও বুধবার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেবে।

আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান সমকালকে জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, জাতীয় কমিটির সদস্য, দলীয় সাংসদদের মাসিক চাঁদা (প্রতিজনের মাসিক ১ হাজার টাকা), প্রাথমিক সদস্য ফি (প্রতিজন ২ টাকা), অনুদান, বই বিক্রি, কাউন্সিলর ফি, পুরাতন কাগজ বিক্রি, বিজ্ঞাপন এবং ব্যাংকের সুদ বাবদ আয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে দলীয় কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, অফিস ভাড়া (মাসে প্রায় এক লাখ টাকা), অফিস সাজানো, পত্রিকা প্রকাশ, জায়গা কেনা, ত্রাণ কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, সভাপতিমণ্ডলীসহ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক, জনসভা, সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং বিজ্ঞাপন। এ সব খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কর্মরতদের বেতন-ভাতাসহ অফিস পরিচালনা বাবদ প্রতি মাসে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ব্যয়ের হিসাবে কাগজ-কলম, কুরিয়ার সার্ভিস, ফ্যাক্স ও টেলিফোন বিল রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হল ভাড়া, প্যান্ডেল নির্মাণ ও ফুল কেনার খরচ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের আয়ের খাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় লাগোয়া চার শতাংশ জায়গা রয়েছে। ২০১২ সালে এই জায়গাটি প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে। গত বছরের আয়ের এক কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ৯ কোটি টাকা মার্কেন্টাইল, ইউসিবিএল এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় জমা রয়েছে।

শেয়ার করুন