আওয়ামী লীগের কারাবন্দী সাংসদ গোলাম মাওলা রনি ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল সম্পদের মধ্যে ১০কোর্টি টাকা সাদা করেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উৎকোচ নিয়ে চাকরী দেওয়ার অভিযোগও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রনির সাদার চেয়ে বিপুল কালো টাকার সন্ধান পেয়েছে কমিশন। এদিকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালক পদে হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করে চা কোম্পানিতে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। গতকাল মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে নীতিগত এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে হারুনুর রশিদ বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালক পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হারুনের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ বিভাগীয় তদন্ত করেন সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়। তদন্ত দল প্রভাবীত হওয়ায় হারুনের বিরুদ্ধে করা তদন্ত কার্যক্রম থেমে যায়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালক বিভিন্নভাবে আর্থিক লেন-দেনের সাথে জড়িত ছিলেন বলেও দুদক সূ্েত্র জানা গেছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, হারুনুর রশিদ ১৯৭৮ সালে পরিসংখ্যান অফিসার পদে শ্রীমঙ্গলে নিয়োগ পান। চা বোর্ডের বিধিমালায় হয়েছে ওই পদে নিয়োগ পেতে হলে প্রথম শ্রেণীর অফিসার হতে হবে এবং পরিসংখ্যান কাজে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শিক্ষা জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকায় প্রথম শ্রেণীর অফিসার হওয়ার যোগ্যতা ছিল না হারুনুর রশিদের। তার এ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি জাতীয় বেতন স্কেলে ৬ নং গ্রেডে ওই দপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে কর্মরত আছেন।