সপরিবারে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শ্বশুড়ালয় পীরগঞ্জের ফতেপুর গ্রামে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়াকে কেন্দ্র করে পুরো পীরগঞ্জ সেজেছে নব বধুর সাজে।
কিভাবে তাঁদের বরণ করা হবে এ নিয়ে পরিবারের লোকজনদের যেন চোখে ঘুম নেই। এরই মধ্যে আত্মীয়-স্বজনে ভরে গেছে মিয়াবাড়ি।
দলীয় নেতা-কর্মী ও রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন আর নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পীরগঞ্জের জনপদ।
ইতিমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের জনসভাস্থল ও প্রধানমন্ত্রী’র শ্বশুরবাড়ি লালদিঘীর ফতেপুর গ্রাম।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র এটি রাষ্ট্রীয় সফর হলেও তিনি এই প্রথম সপরিবারে তার শ্বশুরবাড়ি ফতেপুর মিয়াবাড়িতে আসছেন।
সঙ্গে থাকছেন পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জামাতা খন্দকার হাসান মাশরুল মিথুন, পুত্রবধু ক্রিষ্টিনা ওভার মায়া, নাতি জারিফ হোসেন, নাতনী সুফিয়া ওয়াজেদ, আমরিনা, আলিজা ও সিমি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন।
এরপর তিনি দুপর ২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় যোগ দেবেন।
এর আগে তিনি করতোয়া নদীর কাঁচদহ ঘাটে নবনির্মিত ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু ও উপজেলা সদরে নবনির্মিত আধুনিক ডাক বাংলোর উদ্বোধন করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার ভাতিজা তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, জয় ও পুতুল সপরিবারে একই সঙ্গে আমাদের বাড়িতে আসছেন।
এজন্য একটু বাড়তি উত্তেজনা তো আছেই, গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে তাদের পরিচিত করতে বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।