ওয়ানডের মত টুয়েন্টি টুয়েন্টি সিরিজও জয় দিয়ে শুরু করলো সফরকারী পাকিস্তান। দুই সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে পাকরা ২ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন সামি। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। স্কোর বোর্ডে ৪২ রান যোগ হতেই উপরের সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে দারুন অবদান রাখেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। ওপেনিং বোলার হিসেবে আক্রমনে এসে দুই ওপেনার জনসন চালর্স ও ড্যাশিং ক্রিস গেইলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান হাফিজ। চালর্স ১ ও গেইল ৫ রান করেন। এরপর হাফিজের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন ক্যারিয়ারে প্রথম টি -২০ ম্যাচ খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার জুলফিকার বাবর। লেন্ডল সিমন্সকে ৬ ও মারলন স্যামুয়েলসকে ২৫ রানে বিদায় করেন বাবর।
দ্রুত চার উইকেট হারালেও মির্ডল-অর্ডারে ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড ও ড্যারেন সামির ব্যাটিং নৈপুন্যে শেষপর্যন্ত লড়াকু স্কোর পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রাভো ২৫ ও সামি ৩০ রানে ফিরে গেলেও, ৩৬ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান পোলার্ড। পাকিস্তানের পক্ষে বাবর ৩টি ও হাফিজ ২টি উইকেট শিকার করেন।
এরপর জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রতিপক্ষের মত শুরুতে হোচট খায় পাকিস্তানও। ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে তারা। নাসির জামশেদ ৬ ও আহমেদ শেহজাদ ৩ রান করে আউট হন।
এরপর তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁেধ শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেবার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ হাফিজ ও অভিষিক্ত উমর আমিন। ভালোই সামাল দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু জুটিটিতে ৩৫ রানের বেশি যোগ হতে দেননি ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারাইন। হাফিজকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে থামিয়ে দেন তিনি।
এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের শংকায় পড়ে যায় পাকিস্তান। কিন্তু আমিনের ৪৭ ও শহিদ আফ্রিদির ২৭ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের পথ পেয়ে যায় তারা। তবে শেষদিকে আফ্রিদি বিদায় নিলে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন জুলফিকার বাবর। শেষ বলে জয়ের জন্য ১ প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। আর ঐ বলে ছক্কা হাকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাবর। বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শানোন গ্যাব্রিয়েল। ম্যাচের সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫২/৭, ২০ ওভার (কাইরন পোলার্ড ৪৯*, ড্যারেন সামি ৩০, জুলফিকার বাবর ৩/২৩)।
পাকিস্তান : ১৫৮/৮, ২০ ওভার (উমর আমিন ৪৭, শহিদ আফ্রিদি ৪৭, শানোন গ্যাব্রিয়েল ৩/৪৪)।
ফল : পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)।