ধীরেসুস্থে খেললে হয়তো দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু শতক পূর্ণ করার জন্যই ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। সফল হতে পারেননি। ৯১ রানের মাথায় ফিরেছেন সাজঘরে। যদিও তাতে শ্রীলঙ্কার জয় পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি। ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ওয়ানডে সিরিজটাও।
মাত্র ৯ রানের জন্য সাঙ্গাকারা না পারলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিলকারত্নে দিলশান। আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বেশ ভালোই ভুগিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁদের ১৮৪ রানের জুটিটাই সহজ জয় এনে দিয়েছে স্বাগতিকদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটাই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৯১ রান করে সাঙ্গাকারা যখন মরকেলের শিকারে পরিণত হন, তখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে ছিল শ্রীলঙ্কা। বাকি কাজটা নির্বিঘ্নেই সেরে ফেলেন দিলশান আর লাহিরু থিরিমানে।
শুধু ব্যাট হাতে না, বল হাতেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় দুটি ধাক্কা দিয়েছিলেন দিলশান। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার ডি ককের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আমলা ও জেপি ডুমিনি। ক্রমশই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙে লঙ্কান শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন দিলশান। টানা দুই ওভারে তুলে নিয়েছিলেন ৭৭ রান করা হাশিম আমলা ও অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট। ডুমিনি অবশ্য পুরোটা সময়ই লড়াই করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকেও ফিরতে হয়েছে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৯৭ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ডুমিনি। অজন্তা মেন্ডিস আর লাসিথ মালিঙ্গার ভালো বোলিংয়ে পুরো ৫০ ওভারও ব্যাটিং করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ৮ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে ২৩৮ রানে। মেন্ডিস ৪টি ও মালিঙ্গা ৩টি উইকেট পেয়েছেন।