৫০০ বছর আগের অক্ষত কিশোরী!

0
124
Print Friendly, PDF & Email

ছবি দেখে মনে হতে পারে চিকিৎসক হয়তো একজন বালিকাকে সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু এমন ধারণা ভুল। বরং এই বালিকা সাধারণ কোনো জীবিত বালিকাও নয়। ৫০০ বছর আগে মারা যাওয়া পেরুর বিস্ময়কর ইনকা সম্প্রদায়ের ১৫ বছর বয়সী বালিকা ‘ল্য দোঞ্চেলা’।

এতোকাল আগের বালিকাকে এ রকম জীবন্ত মনে হওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার বটে, কিন্তু কীভাবে সম্ভব?

ইতিহাস বলছে, শিশু-কিশোরদেরকে সৃষ্টিকর্তাদের উদ্দেশে বলি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল ইনকাদের। তারপর মারা যাওয়া শিশুদের স্রষ্টারই সম্মানে মমি করে রাখা হতো।

‘ল্য দোঞ্চেলা’ নামের এই বালিকার মমিটিকে ১৯৯৯ সালে বিস্ময়কর মাচুপিচু নগরীর লুলাইকো আগ্নেয়গিরির ৬,৭৩৯ মিটার (২২,১১০ ফুট) উঁচুতে আবিষ্কার করেন একজন আর্জেন্টাইন-পেরুভিয়ান অভিযাত্রী।

বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলেন, ল্য দোঞ্চেলার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এখনও অক্ষত রয়ে গেছে এবং মনে হচ্ছে সে কেবল কয়েকসপ্তাহ আগে মারা গেছে। তার অক্ষত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে কোনো ঔষুধ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ‍তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, চুল পরীক্ষা করেই তার মৃত্যুর সময় নির্ণয় করেন গবেষকরা।

ইতিহাস মতে, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে বলি দেওয়া শিশুদের হত্যার আগে সুষম খাবার খাইয়ে মোটা-তাজা করা হতো এবং সমাধিস্থলে পৌঁছানোর আগে শিশুদের ভীতি ও ব্যথা নাশক উন্মাদক পানীয় পান করানো হতো, তারপর তাদের হত্যা করা হতো।

গবেষকরা বলেন, সাম্রাজ্যবাদে বিশ্বাসী ইনকারা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধর্মবিশ্বাসের আড়ালে অপেক্ষাকৃত নিম্নশ্রেণীর সন্তানদের প্রতি এ ধরনের নির্মম আচরণ করতো।

শেয়ার করুন