গ্রেফতার সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি এক বিবৃতির মাধ্যমে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। বিবৃতিটি তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগে তৈরি করেছিলেন, যা গতকাল তার স্ত্রী কামরুন নাহার রুনু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠান। বিবৃতিতে এমপি রনি উল্লেখ করেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে আমি বরাবরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী, অনুগত ও নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মী। ভবিষ্যতেও আমি কখনো এ থেকে বিচ্যুত হব না। আমার রাজনৈতিক শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণার উৎস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্পষ্টবাদিতা এবং সাহস আমার পাথেয়। আর রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আরও গতিশীল এবং নিরাপদ করাই আমরা লক্ষ্য। শিক্ষাজীবন শেষে আমি গণমাধ্যমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হই। কিছু সময় প্রবাসে এবং রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় লেখালেখিতে ছেদ পড়ে। পরিচিতজনদের আগ্রহ, উৎসাহ ও সহযোগিতায় আবারও বেশ কিছুদিন হলো লেখালেখি শুরু করেছি। টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বিশেষ করে টক শোতেও অংশ নিচ্ছি নিয়মিত। অনেকের মতো আমিও মনে করি, আমাদের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন প্রয়োজন। এই সমাজে স্পষ্ট কথা বলা/লেখার লোকের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। এ অবস্থায় আমার লেখায়/আলোচনায়/বক্তব্যে প্রশংসা ও তিরস্কার দুটোই জুটেছে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য এবং দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে সম্প্রতি আমি এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হই। ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, আমি মূলত পরিস্থিতির শিকার। এই ঘটনায় সাংবাদিক-বন্ধুদের সঙ্গে অসংযত আচরণের দায় পুরোপুরি আমার। গণমাধ্যমে যুক্ত/কর্মরত সব সাংবাদিক বন্ধু, এ আচরণে ক্ষুব্ধ সব শুভ্যানুধায়ীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে এ অধ্যায়ের অবসান ঘটবে বলে আশা করছি। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। আমি আবারও এ বিষয়ে পরিষ্কার বলতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগের একটিরও সত্যতা মিললে আমি তাৎক্ষণিকভাবে রাজনীতি থেকে চিরদিনের মতো দূরে সরে দাঁড়াব। আপনাদের সবার সহযোগিতা এবং দোয়ায় ভবিষ্যতেও যেন বরাবরের মতো দুর্নীতি, অপশাসনের বিরুদ্ধে লেখালেখি/আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি সে প্রত্যাশা করছি।’