দুর্নীতির দুই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে শেষবারের মতো সময় দিয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৮ আগস্ট দিন রেখেছেন বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোতাহের হোসেন।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন তিনি।
রোববার দুপুরে আসামি পক্ষের সময়ের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এই নতুন তারিখ ধার্য করে দেন।
তিনি বলেন, এরপর এ দুই মামলায় শুনানির জন্য আসামিপক্ষকে আর সময় দেয়া হবে না।
সময়ের আবেদনে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া আগামী ২৭ জুলাই ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে মামলার শুনানির নতুন দিন রাখা হোক।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অপর দুই আসামি বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ৮ অগাস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
মামলার এজাহারে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।