শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, আপিল শুনানি শেষে মানবতাবিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে আসন্ন ঈদের পর রায় কার্যকর করা হবে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের ছয়টি মামলার রায় দিয়েছে। এতে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান চার নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একজনকে যাবজ্জীবন এবং অন্য একজনকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে জঙ্গিবাদী সংগঠন অভিহিত করে হাসানুল হক ইনু বলেন, “সম্প্রতি আদালতের দেয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবেই পাকিস্তানের দালালি করেছে।”
তিনি বলেন, “পাকিস্তান সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা দেশে আলবদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে তাণ্ডব চালিয়েছে।”
মানবতাবিরোধীদের বিচারের সময়ও জামায়াত-শিবির সারা দেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটাই প্রমাণ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত ও বর্তমান জামায়াত একই এবং সশস্ত্র জঙ্গিবাদী সংগঠন।”
সরকারের কাছে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ইনু।
তিনি বলেন, “জামায়াত ও তাদের আশ্রয়দাতা বিএনপি যতোই ষড়যন্ত্র করুক না কেন যুদ্ধাপরাধের বিচার আটকানো যাবে না।”
৩৭তম কর্নেল তাহের দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হুমায়ুন কবির মিঝির সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর জাসদ সভাপতি মীর হোসেন আক্তার, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।