সিদ্ধান্তহীনতায় মাশরাফি

0
117
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে বিপিএলের টানা দ্বিতীয় শিরোপা উপহার দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়ক হিসেবে।সিদ্ধান্তহীনতায় মাশরাফি
শিরোপা উপহার দিলেও দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে পায়ে যে ব্যথা পেয়েছিলেন, সেটার জের এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন দেশ সেরা পেসার। সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গত চার মাস ধরে কষ্ট করছেন নড়াইল এঙ্প্রেস। চেষ্টা করছেন আবারও মাঠে ফিরতে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে মাঠে ফিরতে পারবেন কি না, নিশ্চিত হতে পারছেন না মাশরাফি। মাঠে ফেরার বিষয়ে ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায় ।

অক্টোবরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। সেই সিরিজের আগে নির্বাচক প্যানেল চাইছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফর করে ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাক মাশরাফি। কিন্তু মাশরাফি শতভাগ আত্দবিশ্বাসী নন সফরের বিষয়ে, ‘ইংল্যান্ড সফর নিয়ে আকরাম ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি খেলতে চাই। তবে এখনো ফুল রান আপে বোলিং করতে পারছি না। হাঁটুর একটা বিষয় রয়েছে। তারপরও আমি চেষ্টা করছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে কোচ, ফিজিও ও নির্বাচকদের উপর।’ খেলার মাঠে ফিরতে মরিয়া ‘নড়াইল এঙ্প্রেস’। ভালো করেই জানেন নতুন করে ইনজ্যুরিতে পড়লে খেলা থেকে দূরে সরে যেতে হবে, ‘ইংল্যান্ড যেতে পারলে ভালো লাগবে। তবে এই চিন্তাও আমাকে করতে হচ্ছে, আমি এখন যে অবস্থায় রয়েছি, নতুন করে ইনজ্যুরিতে পড়লে ক্রিকেটে আমার পক্ষে ফেরাটা কষ্টকর হবে। তবে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত।’

এক যুগের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলেছেন মাশরাফি এবং ওয়ানডে খেলেছেন ১২৮টি। অথচ ইনজ্যুরিতে না পড়লে আরও বেশি টেস্ট ও ওয়ানডে লেখা থাকত নামের পাশে। ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খেলার চেয়ে ইনজ্যুরির সঙ্গেই সখ্যতা বেশি মাশরাফির। নিয়মিত খেলতে না পারায় বারংবার হতাশাই ঝড়ে পরে সাবেক অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘খেলতে না পারাটা অবশ্যই হতাশার। বিশেষ করে এশিয়া কাপে ভালো খেললাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ভালো খেলেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিপিএলের ফাইনালে ব্যথা পেলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য সঙ্গী হওয়ায় জাতীয় দলের পক্ষে খেলতে পারলাম না। খারাপ লাগে ভাবতে। তারপরও আমি সব সময় চেষ্টা করি ফিটনেস লেবেলটা সেই পর্যায়ে রাখতে যাতে নতুন করে চোট না পাই। তারপরও চোট থাকে।’ তিন সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে অনেক ওজন ঝড়িয়েছেন শরীর থেকে। আগের চেয়ে এখন অনেক ফিট। তারপরও চিন্তুিত হাঁটু নিয়ে, ‘এখন আমার ইনজ্যুরি হচ্ছে গোড়ালিতে। ওটার রিহ্যাব হচ্ছে। কিন্তু যতদিন ক্রিকেট খেলতে হবে, ততদিন হাঁটুর রিহ্যাব আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। কেননা হাঁটুতে আবার আঘাত পেলে এক-দেড় বছর মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’ গোড়ালিতে এখনো ব্যথা জানান মাশরাফি, ‘গোড়ালিতে একটু ব্যথা রয়েছে। তবে সেটা ম্যানেজেবল। কিন্তু হাঁটু, গোড়ালি সবকিছুর রিহ্যাব কমপ্লিট না করে ফুল রান আপে যেতে চাইছি না।’

সবশেষ ওয়ানডে গত বছর ডিসেম্বরে। আর টেস্ট খেলেছেন চার বছর আগে। দীর্ঘ চার বছর সাদা পোশাকে টেস্ট না খেলতে পারলেও স্বপ্ন দেখেন আবার মাঠে নামার, ‘টেস্ট খেলার কথা এখনো আমি ভাবি। ফিজিও’র সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার চিন্তা পরের জাতীয় লিগে খেলা। সেখানে প্রমাণ দিতে হবে ১৫-২০ ওভার বোলিং করে। তখনই চিন্তা করব টেস্ট খেলার।’

শেয়ার করুন