জেলার বাঘা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিলো ভারত সরকার।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৩৭-বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহীর মাধ্যমে নিহতের পরিবারকে অনুদানের ৫ লাখ ভারতীয় রুপির চেক হস্তান্তর করা হয়। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডে নিহতের পরিবারকে ভারত সরকারের ক্ষতিপূরন এই প্রথম।
বিজিবি সূত্র জানায়, নিহত ওই বাংলাদেশীর নাম শাহ আলম মাল (৪০)। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। রাজশাহী বিজিবি-৩৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাম্মি ফিরোজ জানান, গত শুক্রবার ওই অনুদানের চেক রাজশাহী বিজিবির হাতে পৌঁছেছে।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর বাঘার মীরগঞ্জ-সিংপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকও হয়।
এ সময় ভারত সরকার নিহতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিতে সম্মত হয় বলে বিএসএফর পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী গত শুক্রবার ভারতীয় ৫ লাখ রুপি অনুদানের চেক হাতে এসে পৌঁছেছে।
রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের পরিবারের কাছে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। চেকটি গ্রহণ করেন নিহত শাহ আলম মালের স্ত্রী বিউটি খাতুন। এ সময় তার তিন ছেলে সাদ্দাম হোসেন, ইরাক হোসেন ও লালন উপস্থিত ছিলেন।
চেক বিতরণের পর রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার সরকার সামশুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান এটিই প্রথম।
সাধারণত বিএসএফ হত্যার পর স্বীকারই করে না। তবে কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে অনেক হত্যাকান্ডের ঘটনায় তারা এখন দুঃখ প্রকাশ করে।
আর রাজশাহীর শাহ আলমের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ রুপি দিলো। এটি কূটনৈতিক সফলতা বলে উল্লেখ করেন তিনি।