সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুরু থেকেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে খুশি নন দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী।
সাংবাদিকদের কারো ফোনই ধরেন না তিনি। যা আওয়ামী লীগের অন্য কোনো সাধারণ সম্পাদকের আমলে ঘটেনি। তাছাড়া সিনিয়রদের পাশাপাশি নতুন গজিয়ে ওঠা অনেক নেতার মুখেও এখন শোনা যাচ্ছে সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে বিস্তর সমালোচনা।
সরকারের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভয় দিয়ে রাজনীতির মাঠ যার দখলে রাখার কথা, সেই তিনিই এখন নিরুদ্দেশ। নেতাকর্মীদের কাছে আগের মতো এখনও তিনি ‘ডুমুরের ফুল’।
আ’লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ আর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদে আসীন থাকলেও তাকে দেখা যাচ্ছে না এই রাজনৈতিক সংকটের সময়ে। দল ও মন্ত্রণালয় দু’টিই চলছে সৈয়দ আশরাফের ডেপুটি দিয়ে। তবে তিনি আছেন তার ২১, বেইলি রোডের বাসাতেই।
জানাগেছে, আশরাফ অসুস্থ তাই ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। এর আগে ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তিনি এখন না হয় অসুস্থ; কিন্তু টানা চার সিটিতে যখন নির্বাচন হলো তখনও তিনি কারো সঙ্গে কথা বলেননি; নেতাকর্মীদের কোনো দিক নিদের্শনা দেননি। আর গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই, যিনি দলের হয়ে অন্তত একবার হলেও সেখানে যাননি। শুধু ব্যতিক্রম সৈয়দ আশরাফ। গাজীপুরে একবারও দেখা মেলেনি তার।
এদিকে সৈয়দ আশরাফের সাথে যোগাযোগের জন্য তাকে না পাওয়ার অভিযোগ পুরোনো ঘটনা। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অনেকবার দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন অনেক কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতারা। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা সহজ।
কিন্তু সৈয়দ আশরাফ সাহেবের দেখা পাওয়া বড়ই দুষ্কর।
আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বলেন, ৬৪ বছরের আওয়ামী লীগে এমন নিষ্ক্রিয় সাধারণ সম্পাদক কেউ ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আনার জোর দাবি উঠেছে দলের মধ্য থেকে।