প্রতিটি শিশুর জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালুর আবেদন জানিয়ে পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই বলেছে, সন্ত্রাসীরা তাকে স্তব্ধ করে দিতে পারবে না। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে নিজের ১৬তম জন্মবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক আবেগময় ভাষণে এ কথা বলে মালালা। ভাষণে মালালা বিশ্বের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকারের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেয়। জঙ্গিদের উদ্দেশ করে বলে, ‘তারা ভেবেছিল বুলেট আমাকে স্তদ্ধ করে দেবে, থামিয়ে দেবে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে।’ মালালা বলে, ‘জঙ্গিরা ভেবেছিল, তারা আমাকে আমার লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত করবে। কিন্তু তারা আমার জীবনে কিছুই পরিবর্তন আনতে পারেনি।’ মালালা বলে, বই ও কলমকে জঙ্গিরা ভয় পায়, ‘আসুন আমরা প্রতিটি শিশুর হাতে তুলে দিই সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র বই ও কলম। একটি শিশু, একজন শিক্ষক আর একটা বই গোটা বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।’ গত বছরের অক্টোবরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল সোয়াতে তালেবানের গুলিতে আহত হওয়ার পর এই প্রথম জনসমক্ষে ভাষণ দিল মালালা। ভাষণে সে আরও বলে, ‘আগে নারী আন্দোলনকারীরা তাঁদের অধিকারের কথা তুলে ধরতে পুরুষদের শরণাপন্ন হতেন, এখন আমরা মেয়েরাই সেই কাজটা করব।’ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মালালার সাহসের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মালালার জন্মদিনটিকে ‘মালালা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এএফপি ও বিবিসি।