নির্বাচন ও সরকার পতন আন্দোলনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী নির্বাচনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রোজার মাসকে সংগঠনিক মাস হিসেবে বিবেচনা করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। রোজার পরই নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করতে আসেন খুলনা সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এবং ২২ কাউন্সিলর।
এসময় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বেগম খালেদা জিয়া ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে ৫ সিটি করপোরেশনে জয় লাভ সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার পতন ও আগামী নির্বাচনের জন্য এ ঐক্যধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ বারবার জানিয়ে দিচ্ছে এই সরকারকে তারা চায় না। এই সরকার তাদের ওয়াদা রাখেনি। তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ তাদের ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এই ব্যবধান আরো বাড়বে।
‘গোপালগঞ্জের পরে গাজীপুর আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি’ ক্ষমতাসীন দলের নেতা তোফায়েল আহমেদ এর এ বক্তব্য উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে জনগণ। তিনি বলেন, ওপরে আল্লাহ আর নীচে জনগণ হলো বিএনপির শক্তি।
মহাজোট সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আগামীতে বিএনপি জোট ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি বন্ধ হবে, দেশের উন্নয়ন হবে এবং দারিদ্র দূর হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাগপা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া ফয়েজ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম দাদু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব) সুজাউদ্দিন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামন রিপন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ-শিক্ষা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, কাজী সেকেন্দার আলি ডালিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।